নিরপেক্ষতা নীতি

নিরপেক্ষতা রিউমর ইনস্পেক্টর মূলভিত্তি। প্রতিটি ফ্যাক্ট-চেক আমরা সততা, নির্ভুলতা এবং ভয়হীনভাবে পরিচালনা করি। আমাদের প্রতিষ্ঠানে কোনো রাজনৈতিক পক্ষপাত নেই, এবং সদস্যদের কেউ কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।

আমরা স্বীকার করি—ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেক সদস্যের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও মতামত থাকতে পারে। কিন্তু রিউমর ইনস্পেক্টর কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়ার সাথে সাথেই তারা বস্তুনিষ্ঠতা ও নিরপেক্ষতার প্রতি শতভাগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকে। এ কারণে প্রত্যেকটি ফ্যাক্ট-চেক স্বচ্ছতা ও ব্যাখ্যামূলক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পরিচালিত হয়।

রিউমর ইনস্পেক্টরকাঠামো এমনভাবে সাজানো, যেখানে কোনো সদস্য এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না বা ব্যক্তিগত পক্ষপাত প্রকাশের সুযোগ পায় না। প্রতিটি তথ্য যাচাই করার সময় একটি সুনির্দিষ্ট বিশ্লেষণমূলক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয় এবং আমাদের অভিজ্ঞ গবেষণা দল প্রাযুক্তিক দক্ষতার মাধ্যমে সেসব তথ্য যাচাই ও বিশ্লেষণ করে।

দলগত কাজ রিউমর ইনস্পেক্টর আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য। এককভাবে কোনো সাংবাদিক বা প্রতিবেদক একটি প্রতিবেদন তৈরি করেন না। তথ্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে যাচাই ও প্রকাশ—সবকিছুই দলগত সমন্বয়ে সম্পন্ন হয়।

স্বার্থের দ্বন্দ্ব এড়াতে আমরা রাজনৈতিক বা পক্ষসমর্থক সংস্থার সঙ্গে সদস্যদের সক্রিয় জড়িত থাকার ব্যাপারে কঠোরভাবে নিরুৎসাহিত করি। পাশাপাশি, রিউমর ইনস্পেক্টর কোনো রাজনৈতিক বা তৃতীয় পক্ষ থেকে অর্থনৈতিক সহায়তা গ্রহণ করে না।

নিরপেক্ষতা বজায় রাখার লক্ষ্যে আমাদের সদস্যদের কিছু বাধ্যতামূলক নীতিমালা মেনে চলতে হয়:

  • কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে প্রচারণা চালানো যাবে না।
  • এমন পোশাক বা প্রতীক ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে যা কোনো রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করে।
  • রাজনৈতিক সাহিত্যের প্রচার, মুদ্রণ বা ডিজিটাল প্রচার নিষিদ্ধ।
  • রিউমর ইনস্পেক্টর যেকোনো সরঞ্জাম বা প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে রাজনৈতিক মতবাদ প্রকাশ করা যাবে না।
  • অনুসন্ধানের উদ্দেশ্যে তথ্য সংগ্রহ ব্যতীত কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • অন্য সদস্যদের নাগরিক দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া যাবে না।
  • উল্লিখিত নীতিমালা অনুসরণে অন্যদের নিরুৎসাহিত করা যাবে না।

আমরা কীভাবে এই নীতিমালা নিশ্চিত করি?

নির্দলীয়তা রক্ষা নিশ্চিত করতে সদস্য নিয়োগের সময় আমরা প্রার্থীকে সকল নীতিমালা সম্পর্কে আগেই জানিয়ে দিই এবং তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কার্যক্রম পর্যালোচনা করি। যাচাই-বাছাইয়ের পর যোগ্য মনে হলে তবেই নিয়োগ দেওয়া হয়।

নিয়োগের পর সদস্যদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ফ্যাক্ট-চেকিংয়ের কৌশল, নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতার গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করা হয়। শিক্ষার্থী বা নতুন ফ্যাক্ট-চেকারদের জন্যও ওরিয়েন্টেশন সেশনের ব্যবস্থা থাকে, যেখানে সহকারী সম্পাদকের নেতৃত্বে নিরপেক্ষতা বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।

এছাড়াও, প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও সহকারী সম্পাদকের তত্ত্বাবধানে মাসিক ভিত্তিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়, যাতে আমরা একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ ফ্যাক্ট-চেকিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আমাদের অবস্থান ধরে রাখতে পারি।